Saturday, April 19, 2014

অর্ধাঙ্গী


অর্ধাঙ্গী
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন (১৮৮০-১৯৩২)

* বাঙ্গালি মুসলিম সমাজে নারী-জাগরণের পথিকৃৎ- বেগম রোকেয়া ।
* রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার পায়রাবন্দ গ্রামে ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন ।
* ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন ।
* পিতাঃ আবু আলী হায়দার সাহেব ।
* মাতাঃ- বাহাতুন নেসা সাহেবা চৌধুরাণী ।
* পৈত্রিক নামঃ রোকেয়া খাতুন । বিবাহের পর নামের শেষে সাখাওয়াত হোসেন যুক্ত হয় ।
* সংক্ষেপ নাম- মিসেস আর
. এস. হোসেন ।
* বিখ্যাত গ্রন্থঃ- অবরোধ বাসিনী (১৯২৮) ।
* তিনি
Sultana’s Dream নামে একখানা ইংরেজি গ্রন্থ রচনা করেন এবং পরে সুলতানার স্বপ্ন নামে তার বাংলা অনুবাদ করেন ।
* তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম হচ্ছে- পদ্মরাগ, অবরোধ বাসিনী, মতিচূর, সুলতানার স্বপ্ন, ডিলিসিয়া হত্যা ।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:-
* আবেগধর্মী যুক্তিপ্রধান রচনা- অর্ধাঙ্গী ।
* এ প্রবন্ধের প্রধান বিষয়- নারী জাগরণের পক্ষে লেখিকার সুচিন্তিত ও বলিষ্ঠ মতামত ।
* অর্ধাঙ্গী প্রবন্ধে কালী, সীতা ও শীতলা দেবীর নাম আছে ।
* রবীন্দ্রনাথের
নব দম্পতির প্রেমালাপ কবিতার নয় লাইন আছে ।
* পক্ষপাতিত্বনাই- মাতৃ-হৃদয়ে ।
* ভারতে ভদ্র মহিলারা কর্তব্য অপেক্ষা অল্প কাজ করে ।
*
আমাদের একটাই রোগ আছে দাসত্ব । বেগম রোকেয়া কথাটি বলেছেন- স্ত্রী জাতির অবনতি প্রবন্ধে ।
* কোনো একটা নূতন কাজ করতে গেলে সমাজ প্রথমত- গোলযোগ উপস্থিত করে ।
* কোন মহিলাদের পর্দা মোচন হইয়াছে সত্য, কিন্তু মানসিক দাসত্ব মোচন হয় নাই- পার্সি মহিলাদের ।
* কারা অন্ধভাবে বিলাতি সভ্যতার অনুকরণ করে স্ত্রীদের পর্দার বাহিরে এনেছেন- পার্সি পুরুষগণ ।
* সীতা ছিল রামচন্দ্রের- অর্ধাঙ্গী/ রাণী/ প্রণয়ণী/ সহচরী ।
* রামচন্দ্র স্বামীত্বের ষোলআনা পরিচয় দিয়েছেন ।
*
আমাদের সাংসারিক জীবনটা দ্বিচক্র শকটের ন্যায় (একচক্র পতি, অন্যচক্র- পত্নী) উক্তিটি- শুল্ককেশ বুদ্ধিমাঙ্গণদের ।
* যে কর্তব্য অতি গুরুতর, সহজ নহে- তা
হল- জীবনের কর্তব্য ।
*
যে শকটের একচক্র বড় এবং একচক্র ছোট সে কেবল একই স্থানে ঘুরিতে থাকিবে- গৃহ কোণ ।
*
তবে সেখানে গৃহিনীর না যাওয়াই ভাল- কোন স্থানে- সূর্যমন্ডলে ।
*
শেষে তিনি প্রশ্ন করলেন, কে প্রশ্ন করলেন?- জনৈক বন্ধু ।
* অপার্থিব সম্পত্তি- পিতার স্নেহ, যত্ন ।
* বিবাহ হইলে বালিকা ভাবে-
যাহা হোক, পড়া হইতে রক্ষা পাওয়া গেল ।
*
যে আদর স্নেহ জগতে অতুল কোন আদরকে বোঝানো হইয়াছে- কন্যার প্রতি পিতার স্নেহ ।
* নারীরা কিসের অভাবে অবনত হইয়াছে?- উপযুক্ত শিক্ষার অভাবে ।
* ভারতে কোন দুই লোক অলস?- ভিক্ষু ও ধনবান ।
* ভারতে কারা কর্তব্য অপেক্ষা অল্প কাজ করে?- ভদ্র মহিলারা ।
* শেষ লাইন-
আশা করি এখন স্বামী স্থলে অর্ধাঙ্গী প্রচলিত হইবে ।
* মনে করুন কোন স্থানে--- দিকে একটি বৃহৎ দর্পণ আছে ।
- কোন দিকে?- পূর্ব দিকে ।
* কৃতিত্বঃ- কলকাতায় সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুল প্রতিষ্ঠা ।

শব্দার্থ ও টীকা
* পার্সি---পারস্য দেশের অর্থাৎ ইরানি ।
* ছত্র---ছাতা ।
* কলম্বস--- ক্রিস্টোফার কলম্বস (১৪৪৭-১৫০৬) প্রসিদ্ধ ইতালীয় নাবিক এবং আমেরিকা মহাদেশের আবিষ্কর্তা ।
* বাতুল--- পাগল, উন্মাদ ।
* স্বত্ব-স্বামিত্ব--- অধিকার ও মালিকানা ।
* সীতা---মিথিলরাজ জনকের কন্যা ও রামের স্ত্রী ।
* রামচন্দ্র--- দশরাথ ও কৌশিল্যার পুত্র ।
* শুক্লকেশ- পাকা চুল ।
* শঙ্কট--- গাড়ী, যান ।
* রাসভকর্ণ--- গাধার কান ।
* বোধোদয়--- ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের রচিত
শিশুশিক্ষা তৃতীয় ভাগ বইয়ের নাম । এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৫১ সালে ।
* ওয়াড়
লেপ-বালিশের আবরণ ।
* তুলাদন্ড
দাঁড়িপাল্লা ।
* চর্য্যচোষ্য
চিবিয়ে ও চুষে খেতে হয় এমন ।
* এফ
.—First Arts । বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় ।
* পয়জার --- জুতা ।
* এন্ট্রান্স --- প্রবেশিকা, বর্তমান মাধ্যমিক বা এসএসসি ।
* শমস-উল-ওলামা--- জ্ঞানীদের উপাধি । এর অর্থ জ্ঞানীদের মধ্যে সূর্য ।
* নজম-উল-ওলামা--- জ্ঞানীদের মধ্যে নক্ষত্র ।
* তরঙ্গিনী--- নদী ।
* কাদ্মবিনী
মেঘমালা ।
* সূত্রধর--- কাঠের মিস্ত্রী ।
* শামলা--- শালের পাগড়ি ।

* কলিযুগহিন্দু পূরাণে বর্ণিত ৪র্থ যুগ । কলিযুগ অধর্মের যুগ ।
 
উৎস
* অর্ধাঙ্গী প্রবন্ধটি রোকেয়ার
মতিচূর নামক প্রবন্ধের প্রথম খন্ড থেকে নেয়া হয়েছে ।
* মতিচূর প্রবন্ধে মোট প্রবন্ধ সংখ্যা- ৭ ।
* মতিচূর ১৯০৫ সালে সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় ।
* অর্ধাঙ্গী প্রবন্ধটি ১৩১১ সনের আশ্বিন সংখ্যা নবনূর পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় ।

সাহিত্যে খেলা


۩۩۩ সাহিত্যে খেলা ۩۩۩
প্রমথ চৌধুরী (১৮৬৮-১৯৪৬)

* প্রমথ চৌধুরী ছিলেন পরিশীলিত বাকবৈদগদ্ধ্যময় রম্যরচনায় সিদ্ধহস্ত ।
*
জন্মঃ- ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট, যশোর জেলায় ।
*
পৈতৃক নিবাসঃ- পাবনা জেলার হরিপুরে ।
*
মৃত্যুঃ- ১৯৪৬ সালে ২ সেপ্টেম্বর (১৩৫৩, ১৬ই ভাদ্র) শান্তিনিকেতন ।
* ছদ্মনামঃ- বীরবল ।
*
স্ত্রীর নামঃ- সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা ইন্দিরা দেবী
*
পরিচিতিঃ- বাংলা সাহিত্যের চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক ।
*
বিশেষ কৃতিঃ- বাংলা কাব্য সাহিত্যে ইটালীয় সনেটের প্রবর্তক হিসেবে পরিচিত ।
*
চলিতরীতিতে তাঁর প্রথম গদ্য রচনা- বীরবলের হালখাতা
*
ফরাসি ও ইংরেজি সাহিত্যে তিনি সুপন্ডিত ছিলেন ।
*
পরিবারিক সম্পর্কে প্রমথ চৌধুরী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর- ভাইজী, জামাই ।
*
সম্পাদিত পত্রিকাঃ- সবুজপত্র (১৯১৪) এটি মাসিক পত্রিকা, এবং বিশ্বভারতী পত্রিকা ।
* কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে
জগত্তারিণী পদক দানে সম্মানিত করেন ।

প্রবন্ধ
বীরবলের হালখাতা, তেল-নুন-লাকড়ি, নানা কথা, আমাদের শিক্ষা, নানা চর্চা, রায়তের কথা, প্রবন্ধ সংগ্রহ ।

গল্পগ্রন্থ
নীললোহিত, আহুতি, চার ইয়ারী কথা, গল্পসংগ্রহ ।

কাব্যগ্রন্থ
সনেট পঞ্চাশৎ, পদচারণ ।


উৎস
সাহিত্যে খেলা সর্বপ্রথম
সবুজপত্র পত্রিকায় (১৯১৫ সাল/ ১৩২২ বঙ্গাব্দ শ্রাবণ সংখ্যায়) প্রকাশিত হয় । ১৯৫২ সালে এটি প্রবন্ধ সংগ্রহ গ্রন্থের ১ম খন্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
*
সাহিত্যে খেলা প্রবন্ধে জার্মান দেশের নাম আছে ।
*
সাহিত্যে খেলা শব্দটি আছে এক বার ।
*
খেলা শব্দটি আছে ২১ বার ।
* কাদের যা খুশি তা করবার অধিকার নেই?- ইতর শিল্পীদের ।
* মর্তবাসীদের পক্ষে বিশেষ নিন্দনীয়- রসাতলে গমন করাটা ।
* কাদের যা খুশি তাই করবার অধিকার আছে?- কলারাজ্যের মহাপুরুষদের ।
* জগতের কয়টি দিক- ১০ টি ।
* শ্রোতা/ দর্শকদের মন আকর্ষণ করতে পারি না- উঁচুতে না উঠলে ।
* আমাদের উপদেশ কেউ মানে না- বেদীতে না বসলে ।
* আমাদের অভিনয় কেউ দেখে না- রঙ্গমঞ্চে না চড়লে ।
* আমাদের বক্তৃতা কেউ শোনে না- কাষ্ঠমঞ্চে না দাঁড়ালে ।
* কষ্টকর হলেও আমাদের অবশ্য কাদের পথ অনুসরণ করাই কর্তব্য- মহাজনদের ।
* এ পৃথিবীতে একমাত্র কোথায় ব্রাহ্মণ-শুদ্রের প্রভেদ নেই- খেলার ময়দানে ।
*
তাঁরাই যথার্থ সামাজিক জীব- কারা?- লেখকেরা । আর বাদবাকি সকলে কেবলমাত্র পারিবারিক ।
* বিশ্বমানবের মনের সঙ্গে নিত্য নতুন সম্বন্ধ পাতানোই হচ্ছে কবিমনের নিত্যনৈমিত্তিক কর্ম ।
* কবি মনের গোপন কথাটি উচ্চারিত হয়- গীতিকবিতায় ।
* মানুষ যে খেলা দেখতে ভালোবাসে তার পরিচয় পাওয়া যায়- জড় সমাজে ।
* মানুষের দেহমনের সকল প্রকার ক্রিয়ার মধ্যে ক্রীড়া শ্রেষ্ঠ কারণ- তা উদ্দেশ্যহীন ।
* যে খেলার ভিতর আনন্দ নেই, কিন্তু উপরি পাওনার আশা আছে তার নাম- জুয়া খেলা ।
* খেলার আনন্দ কারও নিজস্ব হতে পারে না কারণ তা- নিরর্থক ।
* আমাদের পক্ষে সর্বপ্রধান কর্তব্য হচ্ছে
মনোজগতে খেলা করা ।
* মোক্ষলাভের একমাত্র উপায়- খেলা ।
* যদি তাঁর কোনই অভাব নেই তবুও তিনি বিশ্ব সৃজন করেছেন- বলেছেন- স্বয়ং ভগবান ।
* কার সৃষ্টি বিশ্বসৃষ্টির অনুরূপ- কবির সৃষ্টি ।
*
সে সৃষ্টির মূলে অন্তরাত্মার স্ফূতি এবং তার ফল আনন্দ- কার সৃষ্টি ?- কবির সৃষ্টি ।
* সাহিত্য সৃষ্টি জীবাত্মার লীলামাত্র । জীবাত্মা পরমাত্মার অংশ ও অঙ্গ ।
* সাহত্যের উদ্দেশ্য নয়- কারও মনোরঞ্জন করা ।
*
এ দুয়ের ভিতর যে আকাশ পাতাল প্রভেদ আছে,-এ দুয়ের বলতে- আনন্দ দেওয়া ও মনোরঞ্জন করাকে বুঝিয়েছেন ।
* কাব্যের- ঝুমঝুমি ।
* বিজ্ঞানের- চুষিকাঠি ।
* দর্শনের- বেলুন ।
* রাজনীতির- রাঙ্গালাঠি ।
* ইতিহাসের- ন্যাকড়ার পুতুল ।
* নীতির- টিনের ভেঁপু ।
* ধর্মের- জয়ঢাক ।
* সাহিত্যরাজ্যে খেলনা পেয়ে পাঠকের মনতুষ্টি হতে পারে । কিন্তু তা গড়ে লেখকের মনতুষ্টি হতে পারে না ।
* কে আজ যে খেলনা আদর করে কাল সেটিকে ভেঙ্গে ফেলে- পাঠক সমাজ ।
* কোথায় যার নাম আনন্দ তার নাম বেদনা- কাব্যসমাজে ।
* বৈশ্য লেখকের পক্ষেই শুদ্র পাঠকের মনোরঞ্জন করা সংগত ।
* কবির মতিগতি শিক্ষকের মতিগতির সম্পূর্ণ বিপরীত ।
* কাব্যরস
অমৃত ।
* শিক্ষার উদ্দেশ্য মানুষকে বিশ্বের খবর জানানো, আর সাহিত্যের উদ্দেশ্য- মানুষের মনকে জানানো ।
* এককালে সাহিত্যের ভার নিয়েছেন- স্কুল মাস্টাররা ।
* যমজ হলেও সহোদর নয়- হীরক ও কাচ ।
* শেষ লাইন- সাহিত্য খেলাচ্ছলে শিক্ষা দেয় ।
* আনন্দের ধর্ম- সংক্রমণ ।
* লেখক এবং পাঠকদের মধ্যে- স্কুল মাস্টাররা দন্ডায়মান ।
* বাল্মীকি রামায়ণ রচনা করেন নি- জনসাধারণের জন্য ।

শব্দার্থ ও টীকা
রোদ্যাঁ--- ফ্র্যাঁসোয়া ভাস্কর রোদ্যাঁ (১৮৪০-১৯১৭) বিশ্ববিখ্যাত ফরাসি ভাস্কর । তাঁর শ্রেষ্ঠ
           কীর্তি- নরকের দুয়ার, বার্ঘাস অব ক্যালে । অবিনশ্বর কীর্তি- চিন্তাবিদ, আদম, ইভ
           তিনি ভিক্টর হুগো, বালজাক, বার্নার্ড শ ইত্যাদি প্রতিকৃতি নির্মাণ করেন ।
গতায়াত--- যাতায়াত ।
গীতিকবিতা---
Lyric .
মোক্ষলাভ--- আত্মার মুক্তি অর্জন ।
বাল্মীকি--- রামায়ণ প্রণেতা বিখ্যাত কবি । যৌবনে তার নাম
রত্নাকর পেশা- দস্যুতা ।
কুশীলব--- নট, অভিনেতা ।
কৌপীন--- ল্যাঙট ।
পেলা--- পারিতোষিক ।

বাংলাদেশ


বাংলাদেশ
অমিয় চক্রবর্তী (১৯০১-১৯৮৬)

* রবীন্দ্রনোত্তর যুগের অন্যতম প্রধান কবি অমিয় চক্রবর্তী এক সময় ছিলেন রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিগত সচিব ।
* জন্মঃ ১৯০১ সালের ১০ এপ্রিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলির শ্রীরামপুরে ।
* তাঁর পিতাঃ দ্বিজেশ্চন্দ্র চক্রবর্তী ।
* অমিয় চক্রবর্তী ১৯২৬ সালে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন ও সাহিত্যে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন ।
* তিনি অক্সফোর্ডে লেখাপড়া করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কাজে নিয়োজিত হন ।
* তিনি ১৯৪০ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা করেন ।
* তিনি ১৯৬০ সালে ইউনেস্কো পুরস্কারে ভূষিত হন ।
* তিনি ১৯৭০ সালে ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মভূষণ উপাধিতে ভূষিত হন ।
* তিনি ১৯৮৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন ।
* তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ- খসড়া (রবীন্দ্রপ্রভাব বর্জিত) ।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
* ‘গড়েছে আত্মীয় পল্লী’ কোথায় গড়েছে- যমুনা-পদ্মার তীরে ।
* ‘আম-জাম-নারকেল ঘেরা’- কোথায়- রূপোলি জলের ধারে ।
* কোন ধানের কথা আছে- আমন ধান ।
* এখানে মরু-পশু বলতে বুঝিয়েছেন- পাকিস্তানি সেনা বাহিনীকে ।
* ‘বাংলাদেশ অনন্ত অক্ষত মূর্তি জাগে, এর পূর্বের লাইন- এ জন্মেই ।
* নদীর নাম আছে- ২ টি ।
* ১ম স্তবকে লাইন- ১২ টি, ২য় স্তবকে লাইন- ১৪টি, ৩য় স্তবকে লাইন- ৭টি, ৪র্থ স্তবকে লাইন- ১টি ।
* ১ম স্তবকে বাংলাদেশের পরিচয়, ২য় স্তবকে হানাদার বাহিনীর হত্যাকান্ড, ৩য় স্তবকে হত্যাকান্ডের প্রতিক্রিয়া, ৪র্থ স্তবকে বাংলাদেশের বিজয় নিহিত ।
* বাংলাদেশ ব্যবহার হয়- ৪ বার, মোট লাইন- ৩৪টি।
* কারা অস্ত্র হাতে নামে- সান্ত্রী কাপুরুষ ।
* কোন রাষ্ট্রের রক্ত পতাকা তোলে- অধম ।

উৎস
* অমিয় চক্রবর্তীর ‘বাংলাদেশ’ কবিতাটি তাঁর ‘অনিঃশেষ’ গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে । দীর্ঘ কবিতাটির কেবল প্রথমাংশ এখানে সংকলিত ।
* বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত ।
* কবিতাটি ১৮ মাত্রার প্রবাহমান অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত ।
* প্রতি চরণে দুটি পর্ব- ৮+১০ ।

শব্দার্থ ও টীকা
হন্তারক--- হত্যাকারী ।
সান্ত্রী কাপুরুষ--- ভীরু পাকিস্তানি বাহিনী ।
স্বর্ণশ্যাম--- সোনালি-শ্যামল ।
পুন্যাহ--- কর্ম অনুষ্ঠানের শুভ বা পবিত্র দিন ।
ধারাবাহী--- অবিচ্ছিন্ন ।

সাহিত্যকর্মঃ

কাব্যগ্রন্থ
একমুঠো, মাটির দেয়াল, অভিজ্ঞান বসন্ত, পারাপার, পালাবদল, পুষ্পিত ইমেজ, অমরাবতী, ঘরে ফেরার দিন, অনিঃশেষ, হারানো অর্কিড, দূরবাণী, চলো যাই, পুরবাসী, লিরিক-কণিকা, খসড়া ।
*তাঁর পারাপার ও পালাবদল কাব্যের পটভূমি চার মহাদেশ-পরিব্যাপ্ত ।

Friday, April 18, 2014

সোনার তরী


সোনার তরী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১)


* ‘সোনার তরী’ কবিতাটি কবির ‘সোনার তরী’ নামক কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে ।
* এই কবিতাটি তিনি ১২৯৮ বঙ্গাব্দে (১৮৯২ সালে) শিলাইদহে বসে রচনা রচনা করেন (পদ্মার পাড়ে, বোটে বসে) ।
* ‘সোনার তরী’ কবিতাটি ১৮৯৪ সালে সালে প্রকাশিত হয় ।
* ‘সোনার ধান’ বলতে বস্তু জাগতিক মহৎ সৃষ্টিকর্মকে বোঝানো হয়েছে ।
* স্তবক সংখ্যা- ৬টি, লাইন- ৪২টি ।
* পূর্ণ পর্ব- ৮ মাত্রা, অপূর্ণ পর্ব- ৫ মাত্রা ।
* কবিতাটি অক্ষরবৃত্ত ছন্দে মনে হলেও ‘শূন্য’ শব্দের কারণে বুঝা যায় মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত ।
* বর্ষা শব্দটি আছে - ২ বার ।
* ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই’ - ১ বার ।
* ঠাঁই নাই - ২ বার ।
* ‘দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে’ - ২ বার ।
* ‘সোনার তরী’ আছে - ১ বার ।
* সাপেক্ষ সর্বনাম আছে - ১ বার ।
* নির্ধারক বিশেষণ আছে - ২ বার ।
* তরণী - ১ বার ।
* তরী - ৪ বার ।
* ধান - ৪ বার ।
* নদী - ৩ বার ।
* বর্ষা - ২ বার ।
* ক্ষেত – ২ বার ।

শব্দার্থ ও টীকা
খরপরশা- শাণিত বা ধারালো বর্শা ।
আমি- সাধারন অর্থে কৃষক । প্রতীকী অর্থে কবি নিজে ।
বাঁকা জল- কালোস্রোতের প্রতীক ।
তরুছায়ামসী-মাখাঃ- গাছপালার ছায়ায় কালচে রঙ মাখা ।
মাঝি- মহাকালের প্রতীক ।

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
* ‘যত চাও, তত লও’- সাপেক্ষ সর্বনাম ।
* ‘রাশি রাশি, ভারা ভারা’- নির্ধারক বিশেষণ ।
* ‘সোনার তরী’ কবিতায় কী প্রকাশ পেয়েছে?- জীবন দর্শন ।
* ‘সোনার তরী’ কবিতায় মাঝিকে কৃষকের পরিচিত মনে হলেও তাঁর আচরণে কী ছিল- অপরিচয়ের নির্বিকারত্ব ও নিরাসক্তি ।
* কখন গ্রামখানি মেঘে ঢাকা ছিল?- প্রভাত বেলা ।
* ‘আমি একেলা’-কে একেলা?- কৃষক নামধারী কবি ।
* কবি পরপারে বা অপরপারে যে গ্রামখানি দেখেছিলেন সেটা দেখতে কেমন ছিল- তরু ছায়া মসী মাখা ।
* যখন বর্ষা এল তখন কৃষক কোন কাজে ব্যস্ত ছিলঃ- ধান কাটায় ।
* ‘বারেক ভিড়াও তরী কূলেতে এসে’- এখানে কাকে আহবান করা হয়েছে?- নৌকার মাঝিকে ।
* ‘একখানি ছোট ক্ষেত আমি একেলা/ চারিদিকে বাঁকা জল করিছে খেলা’- এর মাধ্যেমে কবি কিসের চিত্রকল্প এঁকেছেন?- ছোট দ্বীপের ।
* ‘ঠাঁই নাই ঠাঁই নায় ছোট সে তরী’- এই কথাটি মাঝি কখন বলেছিল?- যখন কৃষক তার নৌকায় উঠতে চেয়ে ব্যর্থ হলো ।
* ‘কুলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা’- এর আগের লাইন কী?- গগণে গরজে মেঘ, ঘন ভরসা ।
* ‘একখানি ছোট ক্ষেত, আমি একেলা’- পরের লাইন কোনটি?- চারি দিকে বাঁকা জল করিছে খেলা ।
* ‘মসীমাখা’ শব্দটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?- দুর্যোগকে ।
* ‘ক্ষুরধারা’ ‘চারিদিকে বাঁকা জল’ শব্দগুলির মাধ্যেমে কী ব্যক্ত হয়েছে?- চিত্রকল্প সৃষ্টি হয়েছে ।
* কবিতার সময়কাল কখন?- প্রভাত ।
* কোন ঋতুর প্রেক্ষাপটে রচিত?- বর্ষা ।
* কোন কাব্যগ্রন্থটিকে রবীন্দ্রনাথের অনুবশ্ব বলা হয়?- ‘মানসী’ ।
* আলোচ্য কবিতায় আহবানকারী কি শেষ পর্যন্ত তরীতে উঠতে পেরেছিল?- পারে নি ।
* রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন অনুভূতি সোনার তরী কবিতায় ব্যক্ত হয়েছে?- নিঃসঙ্গ বেদনা নিয়ে মহাকালের শূন্যতায় বিলীন হওয়ার ইঙ্গিত ।

হৈমন্তী


                         হৈমন্তী

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১)

কবি পরিচিতি

* উপাধি- মহাকবি, ছদ্মনাম- ভানুসিংহ (এ ছদ্মনামে তাঁর ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’ কাব্য রচনা করেন) ।
* জন্মঃ- ১৮৬১ সালের ৭ মে (বাংলায় ১২৬৮ সালের ২৫ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে ।
* মৃত্যুঃ- ১৯৪১ সালের ৭ আগষ্ট (বাংলায়ঃ- ১৩৪৮ সালের ২২ শ্রাবণ) ।
* পিতার নামঃ- মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর । মাতাঃ- সারদা দেবী ।
* পিতামহঃ- প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর । মাতামহীঃ- দিগম্বরী দেবী ।
* শ্বশুর বাড়ীঃ- খুলনা ।
* তিনি বাংলা ছোটগল্পের পথিকৃত ।
* প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ “বনফুল” (১৮৭৫) ।
* ১৯১৫ সালে নাইটহুড/ স্যার উপাধি দেয় ব্রিটিশ সরকার
* ১৯১৯ সালে নাইটহুড/ স্যার উপাধি ত্যাগ করেন (জালিওয়ানয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে) ।
* স্ত্রীর নামঃ ভবতারিণী দেবী । রবীন্দ্রনাথ পরে এ নাম পাল্টে রাখেন- মৃণালিনী দেবী (১৮৮৩) ।
* রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পিতা-মাতার চতুর্দশ সন্তান ও অষ্টম পুত্র । ভাইবোনের সংখ্যা ১৫ জন ।
* প্রথম কবিতাঃ- হিন্দু মেলার উপহার ।
* প্রথম প্রকাশিত নাটকঃ- বাল্মীকি প্রতিভা ও রুদ্রচন্দ্র (১৮৮১) ।
* প্রথম উপন্যাসঃ- বৌ ঠাকুরাণীর হাট (১৮৮৩) ।
* প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্পঃ- ভিখারিণী (১৮৮১) ।
* প্রথম গদ্যগ্রন্থঃ- রাশিয়ার চিঠি ।
* কবিতা লেখা শুরু- ৮ বছর বয়সে ।
* প্রথম প্রকাশিত কাব্যঃ- কবিকাহিনী (১৮৭৮) ।
* প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধঃ- বিবিধ প্রসঙ্গ (১৮৮৩) ।
* প্রথম রচনা সংকলনের নামঃ- চয়নিকা (১৯০৯) ।
* রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ কাব্য- সঞ্চয়িতা ।
* ‘শান্তিনিকেতন’ ও ‘বিশ্বভারতী’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ।
* “রবিহারা”- এ কবিতাটি নজরুল রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুতে রচনা করেন ।
* “কালের যাত্রা”- এ নাটকটি রবীন্দ্রনাথ শরৎচন্দ্রকে উৎসর্গ করেন ।
* “ক্ষণিকা”- এ কাব্যগ্রন্থ রবীন্দ্রনাথ শ্রীযুক্ত লোকেন্দ্রনাথ পাতিলকে উৎসর্গ করেন ।
* “চারঅধ্যায়”- এ উপন্যাস রবীন্দ্রনাথ ব্রিটিশ সরকারের রাজবন্দীদেরকে উৎসর্গ করেন ।
* “তাসের দেশ”- এ নাটকটি রবীন্দ্রনাথ সুভাষচন্দ্র বসুকে উৎসর্গ করেন ।
* “বসন্ত”- এ নাটকটি রবীন্দ্রনাথ নজরুলকে উৎসর্গ করেন ।
* “শেষ লেখা”- রবীন্দ্রনাথের শেষ কাব্য । তাঁর মৃত্যুর পর এটি প্রকাশিত হয় ।
* এশীয়দের মধ্যে সর্বপ্রথম নোবেল পুরষ্কার পান- ১৯১৩ সালে (গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য) ।
* Song Offerings এর ভূমিকা লেখেন ইংরেজ কবি W.B Yeats ।
* সম্পাদিত পত্রিকাঃ- ‘সাধনা’- ১৯৮৪ (মাসিক পত্রিকা) ।

কাব্যগ্রন্থঃ
কবিকাহিনী, বনফুল, সন্ধ্যাসংগীত, প্রভাতসংগীত, ছবি ও গান, শৈশব সংগীত, ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী, কড়ি ও কোমল, মানসী, সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালী, কথা, কাহিনী, কল্পনা, নৈবেদ্য, স্মরণ, শিশু, খেয়া, গীতাঞ্জলি, উৎসর্গ, গীতিমাল্য, বলাকা, পূরবী, মহুয়া, বনবাণী, পুনশ্চ, শ্যামলী, বিচিত্রতা, শেষসপ্তক, বীথিকা, ক্ষণিকা, পত্রপুট, খাপছাড়া, ছড়ার ছবি, প্রান্তিক, সেজুঁতি, প্রহসিনী, আকাশ প্রদীপ, নবজাতক, সানাই, রোগ শয্যায়, আরোগ্য, জন্মদিনে, শেষ লেখা ।

উপন্যাসঃ
গোরা, ঘরে বাইরে, চার অধ্যায়, বৌ ঠাকুরাণীর হাট, রাজর্ষি, করুণা, চোখের বালি, নৌকাডুবি, যোগাযোগ, চতুরঙ্গ, দুই বোন, মালঞ্চ, শেষের কবিতা ।

নাটকঃ
বাল্মীকি প্রতিভা, প্রকৃতির প্রতিশোধ, চিত্রাঙ্গদা, মায়ার খেলা, বিদায় অভিশাপ, রাজা ও রাণী, মুকুট, বিসর্জন, বৈকুন্ঠের খাতা, চিরকুমার সভা, শারদোৎসব, প্রায়শ্চিত্ত, শেষ রক্ষা, রাজা, বসন্ত, অচলায়তন, ডাকঘর, তাসের দেশ, রক্ত কবরী, নটীয় পূজা, ফাল্গুনী, মুক্তধারা, কালের যাত্রা, পরিত্রাণ, গোড়ায় গলদ, চন্ডালিকা, পরাজয়, শ্রাবণ, বাঁশরী ।

প্রবন্ধঃ
বিবিধ প্রবন্ধ, কালান্তর, পঞ্চভূত, সভ্যতার সংকট ।

ভ্রমণ কাহিনীঃ
রাশিয়ার চিঠি, জাপান যাত্রী ।

উৎস সংক্রান্ত তথ্যাবলীঃ
* ‘হৈমন্তী’ গল্প ১৩২১ বঙ্গাব্দে (১৯১৪ সালে) প্রথম প্রকাশিত হয় সবুজপত্র পত্রিকায় ।
* এটি ১৯১৬ সালে প্রথম সংকলিত হয় ১৯১৬ সালে ।
* ‘হৈমন্তী’ গল্প ১৯২৬ সালে রবীন্দ্রনাথের গল্পগুচ্ছের তৃতীয় খন্ডে সন্নিবেশিত করা হয় ।

শব্দার্থ ও টীকা
* এফ.এ. - উচ্চমাধ্যমিক বা First Arts ।
* প্রজাপতি – ব্রহ্মা (বিয়ের দেবতা) ।
* বার্ক – এডমন্ড বার্ক (১৭২৯-১৭৯৭) ইংরেজ রাজনীতিক, প্রাবন্ধিক ও বক্তা ।
* ফ্রেঞ্চ রেভোল্যুশন – ১৭৮৯ সালে সালে সংঘটিত ঐতিহাসিক ফরাসি বিপ্লবের ওপর লেখা এডমন্ড বার্কের গ্রন্থ- Reflections on the Revolution in France । এটি ১৭৯০ সালে প্রকাশিত হয় ।
* Archaeologist – পুরাতত্ত্ববিদ ।
* গৌরী – আট বছরের কন্যা ।
* রোহিণী - নয় বছরের কন্যা ।
* কুমারী – দশ বছরের কন্যা ।
* আইবুড়ো – বার বছরের কন্যা ।
* আনাড়ি – অনিপুণ ।
* জবরজঙ- পরিপাট্যহীন, বেমানান, বেঢপ ।
* মুগ্ধবোধ ব্যাকরণ – বোপদেব গোস্বামী রচিত সংস্কৃত ভাষার ব্যাকরণ- ‘মুগ্ধবোধং ব্যাকরণম’ ।
* টিপাই ( Tripod ) – তিন পায়াওয়ালা টেবিল ।
* প্রস্রবণ – ঝরনা ।
* খোট্টা – নিন্দার্থে হিন্দিভাষী লোকজন ।
* গালিচা – পুরু ফরাশ । কার্পেট ।
* নিভৃত – নির্জন
* ধ্রুব – অক্ষয়, নিত্য ।
* ওচাঁ – হেয়, জঘন্য, নিকৃষ্ট ।
* বাজখাঁই – কর্কশ ।
* মার্টিনো – ইংরেজ লেখক ।
* গঞ্জনা – ভৎর্সনা, লাঞ্ছনা ।
* অনবধানতা – মনোযোগের অভাব ।
* দক্ষিণার জোরে – টাকা-পয়সা দিয়ে ।
* রাস – শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলা সংক্রান্ত উৎসব ।
* পঞ্চম স্বর – কোকিলের সুরলহরী, রাগবিশেষ ।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

* হৈমন্তী গল্পের তিনটি দিক (দক্ষিণ, উত্তর, পশ্চিম), মাস ৩ টি (বৈশাখ, জ্যোষ্ঠ, ফাল্গুন)
* হৈমন্তী গল্পে আছে প্রত্নতাত্ত্বিক এর কথা ।
* হৈমন্তীর নাম পাঁচটি- হৈম, হৈমী, বুড়ি, হৈমন্তী, শিশির ।
* হৈমন্তীর ডাক নাম তিনটি- হৈম, হৈমী, বুড়ি ।
* হৈমন্তীর উপাধি- গিরিনন্দিনী ।
* হৈমন্তীর ছদ্মনাম শিশির ।
* এখানে দ্বিতীয় সীতা বিসর্জনের কথা বলা আছে । (শুধু সীতার কথা বলা আছে অর্ধাঙ্গীর প্রবন্ধে) ।
* ‘বটে রে তবে তবে’ – উক্তিটি অপুর বাবার (‘তবে রে ইত্যাদি ইত্যাদি’- উক্তিটি খুরার) ।
* বার্কের ফ্রেঞ্চ রেভোল্যুশনের মোট কত খাতা মুখস্ত করিতে হইবে?- পাঁচ-সাত খাতা ।
* তাহার চেয়ে কিঞ্চিত উপরে আছে । এখানে কোন দুটি বিষয়ের মধ্যে তুলনা করা হচ্ছে?- কনের বয়স ও পণের টাকা ।
* তাহাদের পিতৃপক্ষের পাকা চুল কলপের আশীর্বাদে পুনঃপুনঃ কাঁচা হইয়া উঠে । কাদের?- নবীন ছাত্রদের ।
* রাজা প্রতাপাদিত্যের ঐতিহাসিক কাহিনী- বৌ ঠাকুরাণীর হাট ।
* ফরাসি দার্শনিক বার্গসের তত্ত্বপ্রয়োগে রচিত কাব্যগ্রন্থ- বলাকা ।
* বাংলা সাহিত্যের প্রথম মনস্ত্বাত্তিক উপন্যাস- চোখের বালি ।
* ব্রিটিশ ভারতের রাজনীতি নিয়ে রচিত উপন্যাস- ঘরে বাহিরে ।
* ‘কিন্তু একি করিতেছি একি একটা গল্প যে উপন্যাস লিখিতে বসিলাম ।’ বাক্যটিতে যতিচিহ্ন কতটি?- ৩ টি ।
* তাহার যে অশ্রু শুকাইয়া গেছে ! জ্যৈষ্ঠের খররৌদ্রই তো জ্যৈষ্ঠের অশ্রু শূন্য রোদন । কার?- অপুর ।
* যে অমৃতলোকে হৈমন্তী অক্ষয় হইয়া রহিল সেখানে কাদের আনাগোনা নেই? – ঐতিহাসিকদের ।
* কার কান্না হাসি একেবারে এক হইয়া আছে- শিশিরের ।
* হৈমন্তীর বয়স ১৭, অপুর বয়স ১৯ ।
* উভয়েরই মতামত বিদ্রোহের দুই বিভিন্ন মূর্তি । কাদের?- অপুর পিতামহ ও পিতা ।
* তাহাঁর পিতা ছিলেন উগ্রভাবে সমাজ বিদ্রোহী । এখানে কার পিতার কথা বলা হল- অপুর পিতার পিতা/ অপুর পিতামহ
* উগ্রভাবে সমাজ অনুগামী ছিলেন- অপুর পিতা ।
* তিনি কষিয়া ইংরেজি পড়িয়া ছিলেন । কে?- অপুর পিতামহ ।
* ইনিও কষিয়া ইংরেজি পড়িয়া ছিলেন । কে?- অপুর পিতা ।
* কোন একটা মতের বালাই ছিল না কার – অপুর শ্বশুরের ।
* অপু কলেজে ৩য় বর্ষে পা দিয়েছে ।
* কোন কোম্পানির জবড়জঙ জ্যাকেট?- সাহা বা মল্লিক কোম্পানি ।
* আমার সেই – বছরের বয়সটি আমার জীবনে অক্ষয় হইয়া থাকে । - ঊনিশ বছরের বয়স ।
* “তাই বই-কি ! উক্তিটি কার?- হৈমন্তীর ।
* ‘সংসারে তোমার তো ঐ একটি মেয়ে ।’- উক্তিটি বনমালীর ।
* বিবাহে শ্বশুর দিয়েছে – ১৫ হাজার টাকা আর ৫ হাজার টাকার গহনা ।
* গৌরিশংকর ১৫ হাজার টাকা দিয়েছেন- ধার করিয়া ।
* সংসারের ভদ্র পদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ওঁচা- স্কুলের হেডমাস্টার ।
* মার্টিনোর চরিত্রতত্ব বইখানির লাইনে কোন রঙ এর পেন্সিলের লাঙল চালাইতেছে- নীল রঙয়ের ।
* মল্লিকদের বাগানে কাঞ্চন গাছ কী ফুলে আচ্ছন্ন?- গোলাপি ।
* “দেশের প্রচলিত ধর্ম-কর্মে তাহার আস্থা ছিল না ।”- কার?- অপুর দাদার ।
* ঐতিহাসিকদের আনাগোনা নেই- অমৃতলোকে ।
* হৈমন্তীর মৃত্যুর জন্য দায়ী- হিন্দুসমাজ ।
* অপু হৈমন্তীকে মুক্তি দিতে পারে না কেন?- পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার কারণে ।
* শেষের শব্দটি আছে ৯ বার ।
* আমি তো সেদিন লোকরঞ্জনের জন্য স্ত্রী পরিত্যাগের গুন বর্ণনা করিয়া প্রবন্ধ লিখিয়াছি, কোথায়?- মাসিক পত্রে ।
* আমি যাহা বুঝি না তাহা শিখাইতে গেলে কেবল কপটতা শেখানো হইবে ।’ – উক্তিটি- গৌরিশংকরের ।
* ‘খোট্টার দেশে ডালরুটি খাইয়া মানুষ, তাই অমন বাড়ন্ত হইয়া উঠিয়াছে ।’- উক্তিটি অপুর মার ।
* ‘অ্যাঁ, এ কী ! হৈমী, এ কেমন চেহারা তোর ! অসুখ করে নাই তো?’ উক্তিটি- বনমালীর ।
* অপুর ছোট বোন- নারানী ।


[If you have any problem, comment below Or contact us]

Thursday, April 17, 2014

কমলাকান্তের জবানবন্দি


কমলাকান্তের জবানবন্দি
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪)

- উৎসঃ- কমলাকান্তের দপ্তর নামক প্রবন্ধগ্রন্থ (১২৮৮ বঙ্গাব্দ)
- ছদ্মনাম কমলাকান্ত ।
- বঙ্কিমচন্দ্রের উপাধি
সাহিত্যসম্রাট । তিনি বাংলা উপন্যাসের জনক ।
- (১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুন) পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণার জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে
   জন্মগ্রহন করেন (বাংলা- ১৩ আষাঢ় ১২৪৫)।
- ৮ এপ্রিল ১৮৯৪ (২৬ চৈত্র ১৩০০) কলকাতায় বহুমূত্র রোগে মৃত্যুবরণ করেন ।
- পিতাঃ- যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় । পেশায় ডেপুটি কালেক্টর ।
- মাঃ- দুর্গাসুন্দরী ।
- বঙ্কিমচন্দ্র কর্মজীবনে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন ।
- বঙ্গদর্শন (১৮৭২) এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ।
- প্রথম প্রকৃত বাংলা উপন্যাস-
দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫)
- প্রথম লেখা উপন্যাস-
“Rajmohon’s Wife”.
- প্রথম কাব্যগ্রন্থ-
ললিতা তথা মানস (১৮৫৬)।
- লেখা উপন্যাসের সংখ্যা ১৪ টি ।
- কমলাকান্তের জবানবন্দি সাধুরীতির উদাহরন ।
- কমলাকান্তের জবানবন্দি প্রথম প্রকাশিত বঙ্গদর্শন পত্রিকায় (১২৮৮) ফাল্গুন সংখ্যায় ।
- কমলাকান্তের জবানবন্দি নকশা জাতীয় হালকা সরস রচনা ।

উপন্যাসসমূহ
প্রবন্ধসমূহ
দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫), কপালকুন্ডলা (১৮৬৬), মৃণালিনী (১৮৬৯), বিষবৃক্ষ (১৮৭৩), রজনী (১৮৭৭), কৃষ্ণকান্তের উইল (১৮৭৮), রাজসিংহ (১৮৮২), আনন্দমঠ (১৮৮৪), দেবী চৌধুরাণী (১৮৭৭), সীতারাম (১৮৭৫)
লোকরহস্য, বিজ্ঞানরহস্য, কমলাকান্তের দপ্তর, বিবিধ সমালোচনা, সাম্য, কৃষ্ণচরিত্র, বিবিধ প্রবন্ধ, ধর্মতত্ত্ব অনুশীলন, শ্রীমদ্ভগবদগীতা

শব্দার্থ

* শামলা- শালের পাগড়ি ।
* এজলাস- বিচারকক্ষ ।
* কাটারা- কাঠগড়া ।
* ওথ- হলফনামা ।
* সেরকশ- বেয়াড়া, উদ্ধত, একগুঁয়ে ।
* কুঠারি- যাত্রাদলের মালিক বা পরিচালক ।
* ব্রাহ্ম সমাজ- রাজা রামমোহন রায় (১৭৭৪-১৮৮৩) প্রবর্তিত এবং মহর্ষি
   দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮১৭-১৯০৫) প্রচারিত একেশ্বরবাদী ধর্মসম্প্রদায় ।
* যজ্ঞোপবীত- যজ্ঞসূত্র, উপবীত, পৈতা ।

গুরুত্বপূর্ন তথ্যঃ-
-
হাস কেন?- উক্তিটি চাপরাশির (ধমকিয়ে বললেন)
- কমলাকান্তের বয়স ৫১ বছর ২ মাস ১৩ দিন ৪ ঘন্টা ৫ মিনিট (সেকেন্ড উল্লেখ
   নাই)
- কমলাকান্তের আড্ডা ছিল- নসীবাবু যখন ছিলেন ।
- মামলাকারী/ ফরিয়াদি- প্রসন্ন গোয়ালিনী, মোকদ্দমা- গরুচুরি ।
- কনেস্টেবলের পোষাক- কালোকোর্তা ।
- কনেস্টেবল রুল ঘুরাইয়া কমলাকান্তকে সঙ্গে করিয়া এজলাসে লইয়া গেল ।
- কমলাকান্ত ছিল- সাক্ষী
- হাকিম বিরাজ করিতেছে- মাচানের উপর ।
-
তুমি অধম বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন-উক্তিটি বঙ্কিমচন্দ্রের
- কমলাকান্তের প্রথম উক্তি-
বাবা, কার ক্ষেতে ধান খেয়েছি যে, আমাকে এর
  ভেতর পুরিলে ?

- কমলাকান্ত মৃদু মৃদু হাসিতে লাগিল যখন তাকে কাটারায় পুরিয়ে দিল ।
-
তামাশার জায়গা এ নয়- হলফ পড় ।- দাড়ি ঘুরাইয়া চাপরাশি বলিল ।
- উকিল কীভাবে বলিল
কিসে চিনিলে?- হাসিয়া ।
- উকিলের গায়ে ছিল- মোটা চেন আর ময়লা শামলা ।
- 
ধর্মাবর্তার! সাক্ষী বড় সেরকশ । উক্তিটি মুহুরির ।
-
সে সাধ এখানেই মিটিল-কমলাকান্তের কোন সাধ?- যাত্রা শোনার ।
-
এত বুদ্ধি থাকিলে তোমার কি এ পদবৃদ্ধি হইত?- উক্তিটি কমলাকান্ত হাকিমকে
   মনে মনে বলিল ।
- কমলাকান্তের জাত- ব্রাহ্মণ । ধর্ম- হিন্দু, বর্ণ- ঘোরতর কৃষ্ণবর্ণ ।
-
রাগবৈদ গন্ধ কি?- হাস্যরসের অনুভব সৃষ্টি করে এমন বুদ্ধিদীপ্ত কথা ।

বঙ্গভাষা


বঙ্গভাষা
মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩)

* জন্মঃ- ২৫ জানুয়ারি ১৮২৪ ।
* পিতাঃ- রাজনারায়ণ দত্ত; মাতাঃ- জাহ্নবী দেবী ।
* জন্মস্থানঃ- সাগরদাঁড়ি, কেশবপুর, যশোর ।
* ধর্মান্তরিত হনঃ- ৯ ফেব্রুয়ারি ১৮৪৩ ।
* প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ- The Captive Lady, ১৮৪৯ সাল ।
* ছদ্মনামঃ- Timothy penpoem.
* প্রথম নাটকঃ- শর্মিষ্ঠা (১৮৫৯) ।
* তার প্রথম কাব্যঃ- তিলোত্তমা সম্ভব (১৮৬০) ।
* তার প্রথম কাব্যঃ- মেঘনাদবধ (১৮৬১) ।
* বিলেত গমন করেন ১৮৬২ সালে ।
* বঙ্গভাষা কবিতার পূর্ণ নাম- কবি মাতৃভাষা ।
* তিনি ১৩/১৪ টি ভাষা শিখেছিলেন ।
* খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন ১৮৪৩ সালে (১৯ বছর বয়সে)
* খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করার পর তার নামের শেষে ‘মাইকেল’ নামটি যুক্ত হয় ।
* উপাধিঃ- মাইকেল ।
* কবিকঙ্কন- চন্ডীমঙ্গল ।
* ভারতচন্দ্র- অন্নদা মঙ্গল ।
* কাশীরাম দাস- মহাভারত ।
* কৃত্তিবাস- রামায়ণ ।
* কালিদাস- মেঘদূত ।
* জয়দেব- গীতগোবিন্দ ।
* সাহিত্যে স্বীকৃতিঃ-
(১) আধুনিক বাংলা কবিতার জনক ।
(২) প্রথম সনেট রচয়িতা (বাংলা ভাষায়) ।
(৩) প্রথম প্রহসন রচয়িতা (বাংলা ভাষায়) ।
(৪) প্রথম সার্থক মহাকাব্য রচয়িতা (বাংলা ভাষায়) ।
(৫) বাংলা ভাষায় অমিত্রাক্ষর ছন্দের রচয়িতা ।
(৬) প্রথম সার্থক ট্রাজেডি নাটক- ‘কৃষ্ণকুমারী’ ।
* মৃত্যুঃ- ২৯ জুন ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দ, কলকাতায় ।
* সমাধিস্থানঃ- কলকাতার লেয়ার সার্কুলার রোডে ।
নাটক
‘শর্মিষ্ঠা’, ‘পদ্মাবতী’, ‘কৃষ্ণকুমারী’, ‘হেক্টরবধ’, ‘মায়াকানন’ ।
প্রহসন
একেই কি বলে সভ্যতা, বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ ।
পত্রকাব্য
বীরাঙ্গনা
কাব্যগ্রন্থ
তিলোত্তমাসম্ভব, মেঘনাদবধ, ব্রজাঙ্গনা, চতুর্দশপদী কবিতাবলি ।
* ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলি’ তিনি ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে বসে রচনা করেন ।

কবিতা পরিচিতিঃ-
পূর্ণনামঃ- কবি মাতৃভাষা ।
গ্রন্থঃ- বঙ্গভাষা কবিতাটি ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলি’ গ্রন্থের অন্তর্গত ।
ছন্দঃ- অক্ষরবৃত্ত ।
মাত্রা সংখ্যাঃ- প্রতি চরণে ১৪ মাত্রা, দুটি পর্ব । প্রথম পর্ব ৮ মাত্রার, দ্বিতীয় পর্ব ৬ মাত্রার
অষ্টকের মিল বিন্যাসঃ- কখ কখ খক খক,
ষটকের মিল বিন্যাসঃ- গঘ গঘ ঙঙ ।
বাংলা সাহিত্যে প্রথম সনেটের নাম- বংভাষা ।
সনেট কবিতা একটি বিশেষ ধরণের- রূপকল্প ।
‘বঙ্গভাষা’ কবিতায় কতবার যতিচিহ্নের ব্যবহার আছে- ৩৪ বার ।

শব্দার্থ ও টীকা
পরধন- লোভে মত্তঃ- পরের সম্পদের উপর অতিমাত্রায় আকৃষ্ট । পরধন বলতে কবি পাশ্চাত্য সাহিত্যকে বুঝিয়েছেন ।
পরদেশঃ- বিদেশের সাহিত্য ক্ষেত্র ।
কায়ঃ- দেহ, শরীর ।
কমল-কাননঃ- পদ্মবন ।
কুললক্ষী- ভাষাদেবী ।
কেলিনুঃ- খেললাম ।

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
* বঙ্গভাষা কবিতায় ‘কুললক্ষী’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?- ভাষাদেবী ।
* ‘মজিনু বিফল তপে অবরণ্যে বরি’- কাকে বরণ করেছিলেন কবি- বিদেশী সাহিত্যকে ।
* সনেটের প্রবর্তক কে?- পেত্রার্ক ।
* সনেট রীতির কাব্য রচনা কোন দেশে হয়?- ইতালী ।
*  ‘বঙ্গভাষা’ কবিতার কোন চারটি চরনে পেত্রার্কীয় ঢং দেখা যায়?- নবম থেকে দ্বাদশ । (গঘ গঘ) ।
* ‘সঁপা’ শব্দের ব্যুৎপত্তি কোনটি?- সমর্পণ ।
* “বাছা” শব্দটি- তদ্ভব শব্দ ।
* কবি পরদেশে কিভাবে জীবন-যাপন করেছেন?- অনিদ্রায় অনাহারে ।
* কবি ‘কমল কানন’ ভুলে কি গ্রহণ করলেন?- শৈবাল ।
* বঙ্গভাষা কবিতার মূল ভাব- বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের মূল্যায়ন ।
* কবি সনেট লেখার ব্যাপারে প্রথম কাকে জানান?- বন্ধু রাজনারায়ণ বসুকে চিঠিতে ।
* কবি নিজেকে কেমন মনে করেছেন?- অবোধ ।
* বাংলা সাহিত্যে রেনেসাঁর কবি হিসেবে পরিচিত কে?- মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।
* ‘পর-ধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ’- এর পরের পঙক্তি- ‘পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি ।’
* পরধন বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?- পাশ্চাত্য সাহিত্যকে ।
* মধুসূদন দত্ত চতুর্দশপদী কবিতা রচনায় কোন কবির আদর্শ বেছে নিয়েছিলেন- পেত্রার্ক ।
* পৃথিবীতে সর্বপ্রথম সনেট রচনা করেন- পেত্রার্ক ।
* কবিতার প্রথম চারটি চরণ কোন রীতিতে রচিত?- শেক্সপীয়রীয় ঢঙে (কখ কখ) ।
* পঞ্চম থেকে অষ্টম চারটি চরণ কোন রীতিতে রচিত?- অনিয়মিত শেক্সপীয়রীয় ঢঙের ।
* শেষ দুটি চরণ (১৩-১৪) কোন রীতিতে রচিত?- শেক্সপীয়রীয় ঢঙে (ঙঙ) ।
* একটি সনেটে কয়টি ভাব থাকে- ১টি ।
* ‘বঙ্গ’- ১ বার । ‘হে বঙ্গ’ আছে ১ বার ।
* সনেটে পঙতি থাকে- ১৪ টি, স্তবক- ২টি ।
* কবি পরদেশে ভ্রমণ হয়েছেন কেন?- লোভে মত্ত হয়ে ।
* কবি পরদেশে নিজেকে কী মনে করেছেন?- ভিক্ষুক ।