۩۩۩ সাহিত্যে খেলা ۩۩۩
প্রমথ চৌধুরী (১৮৬৮-১৯৪৬)
* প্রমথ চৌধুরী ছিলেন পরিশীলিত বাকবৈদগদ্ধ্যময় রম্যরচনায় সিদ্ধহস্ত ।
* জন্মঃ- ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট, যশোর জেলায় ।
* পৈতৃক নিবাসঃ- পাবনা জেলার হরিপুরে ।
* মৃত্যুঃ- ১৯৪৬ সালে ২ সেপ্টেম্বর (১৩৫৩, ১৬ই ভাদ্র) শান্তিনিকেতন ।
প্রমথ চৌধুরী (১৮৬৮-১৯৪৬)
* প্রমথ চৌধুরী ছিলেন পরিশীলিত বাকবৈদগদ্ধ্যময় রম্যরচনায় সিদ্ধহস্ত ।
* জন্মঃ- ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট, যশোর জেলায় ।
* পৈতৃক নিবাসঃ- পাবনা জেলার হরিপুরে ।
* মৃত্যুঃ- ১৯৪৬ সালে ২ সেপ্টেম্বর (১৩৫৩, ১৬ই ভাদ্র) শান্তিনিকেতন ।
* ছদ্মনামঃ- বীরবল ।
* স্ত্রীর নামঃ- সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা ‘ইন্দিরা দেবী’ ।
* পরিচিতিঃ- বাংলা সাহিত্যের চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক ।
* বিশেষ কৃতিঃ- বাংলা কাব্য সাহিত্যে ইটালীয় সনেটের প্রবর্তক হিসেবে পরিচিত ।
* চলিতরীতিতে তাঁর প্রথম গদ্য রচনা- ‘বীরবলের হালখাতা’ ।
* ফরাসি ও ইংরেজি সাহিত্যে তিনি সুপন্ডিত ছিলেন ।
* পরিবারিক সম্পর্কে প্রমথ চৌধুরী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর- ভাইজী, জামাই ।
* সম্পাদিত পত্রিকাঃ- ‘সবুজপত্র’ (১৯১৪) এটি মাসিক পত্রিকা, এবং ‘বিশ্বভারতী’ পত্রিকা ।
* কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ‘জগত্তারিণী পদক’ দানে সম্মানিত করেন ।
প্রবন্ধ
বীরবলের হালখাতা, তেল-নুন-লাকড়ি, নানা কথা, আমাদের শিক্ষা, নানা চর্চা, রায়তের কথা, প্রবন্ধ সংগ্রহ ।
গল্পগ্রন্থ
নীললোহিত, আহুতি, চার ইয়ারী কথা, গল্পসংগ্রহ ।
কাব্যগ্রন্থ
সনেট পঞ্চাশৎ, পদচারণ ।
উৎস
সাহিত্যে খেলা সর্বপ্রথম ‘সবুজপত্র’ পত্রিকায় (১৯১৫ সাল/ ১৩২২ বঙ্গাব্দ শ্রাবণ সংখ্যায়) প্রকাশিত হয় । ১৯৫২ সালে এটি ‘প্রবন্ধ সংগ্রহ’ গ্রন্থের ১ম খন্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
* ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে জার্মান দেশের নাম আছে ।
* ‘সাহিত্যে খেলা’ শব্দটি আছে এক বার ।
* ‘খেলা’ শব্দটি আছে ২১ বার ।
* কাদের যা খুশি তা করবার অধিকার নেই?- ইতর শিল্পীদের ।
* মর্তবাসীদের পক্ষে বিশেষ নিন্দনীয়- রসাতলে গমন করাটা ।
* কাদের যা খুশি তাই করবার অধিকার আছে?- কলারাজ্যের মহাপুরুষদের ।
* জগতের কয়টি দিক- ১০ টি ।
* শ্রোতা/ দর্শকদের মন আকর্ষণ করতে পারি না- উঁচুতে না উঠলে ।
* আমাদের উপদেশ কেউ মানে না- বেদীতে না বসলে ।
* আমাদের অভিনয় কেউ দেখে না- রঙ্গমঞ্চে না চড়লে ।
* আমাদের বক্তৃতা কেউ শোনে না- কাষ্ঠমঞ্চে না দাঁড়ালে ।
* কষ্টকর হলেও আমাদের অবশ্য কাদের পথ অনুসরণ করাই কর্তব্য- মহাজনদের ।
* এ পৃথিবীতে একমাত্র কোথায় ব্রাহ্মণ-শুদ্রের প্রভেদ নেই- খেলার ময়দানে ।
* ‘তাঁরাই যথার্থ সামাজিক জীব’- কারা?- লেখকেরা । আর বাদবাকি সকলে কেবলমাত্র পারিবারিক ।
* বিশ্বমানবের মনের সঙ্গে নিত্য নতুন সম্বন্ধ পাতানোই হচ্ছে কবিমনের নিত্যনৈমিত্তিক কর্ম ।
* কবি মনের গোপন কথাটি উচ্চারিত হয়- গীতিকবিতায় ।
* মানুষ যে খেলা দেখতে ভালোবাসে তার পরিচয় পাওয়া যায়- জড় সমাজে ।
* মানুষের দেহমনের সকল প্রকার ক্রিয়ার মধ্যে ক্রীড়া শ্রেষ্ঠ কারণ- তা উদ্দেশ্যহীন ।
* যে খেলার ভিতর আনন্দ নেই, কিন্তু উপরি পাওনার আশা আছে তার নাম- জুয়া খেলা ।
* খেলার আনন্দ কারও নিজস্ব হতে পারে না কারণ তা- নিরর্থক ।
* আমাদের পক্ষে সর্বপ্রধান কর্তব্য হচ্ছে – মনোজগতে খেলা করা ।
* মোক্ষলাভের একমাত্র উপায়- খেলা ।
* যদি তাঁর কোনই অভাব নেই তবুও তিনি বিশ্ব সৃজন করেছেন- বলেছেন- স্বয়ং ভগবান ।
* কার সৃষ্টি বিশ্বসৃষ্টির অনুরূপ- কবির সৃষ্টি ।
* ‘সে সৃষ্টির মূলে অন্তরাত্মার স্ফূতি এবং তার ফল আনন্দ- কার সৃষ্টি ?- কবির সৃষ্টি ।
* সাহিত্য সৃষ্টি জীবাত্মার লীলামাত্র । জীবাত্মা পরমাত্মার অংশ ও অঙ্গ ।
* সাহত্যের উদ্দেশ্য নয়- কারও মনোরঞ্জন করা ।
* ‘এ দুয়ের ভিতর যে আকাশ পাতাল প্রভেদ আছে,’-এ দুয়ের বলতে- আনন্দ দেওয়া ও মনোরঞ্জন করাকে বুঝিয়েছেন ।
* কাব্যের- ঝুমঝুমি ।
* বিজ্ঞানের- চুষিকাঠি ।
* দর্শনের- বেলুন ।
* রাজনীতির- রাঙ্গালাঠি ।
* ইতিহাসের- ন্যাকড়ার পুতুল ।
* নীতির- টিনের ভেঁপু ।
* ধর্মের- জয়ঢাক ।
* সাহিত্যরাজ্যে খেলনা পেয়ে পাঠকের মনতুষ্টি হতে পারে । কিন্তু তা গড়ে লেখকের মনতুষ্টি হতে পারে না ।
* কে আজ যে খেলনা আদর করে কাল সেটিকে ভেঙ্গে ফেলে- পাঠক সমাজ ।
* কোথায় যার নাম আনন্দ তার নাম বেদনা- কাব্যসমাজে ।
* বৈশ্য লেখকের পক্ষেই শুদ্র পাঠকের মনোরঞ্জন করা সংগত ।
* কবির মতিগতি শিক্ষকের মতিগতির সম্পূর্ণ বিপরীত ।
* কাব্যরস – অমৃত ।
* শিক্ষার উদ্দেশ্য মানুষকে বিশ্বের খবর জানানো, আর সাহিত্যের উদ্দেশ্য- মানুষের মনকে জানানো ।
* এককালে সাহিত্যের ভার নিয়েছেন- স্কুল মাস্টাররা ।
* যমজ হলেও সহোদর নয়- হীরক ও কাচ ।
* শেষ লাইন- সাহিত্য খেলাচ্ছলে শিক্ষা দেয় ।
* আনন্দের ধর্ম- সংক্রমণ ।
* লেখক এবং পাঠকদের মধ্যে- স্কুল মাস্টাররা দন্ডায়মান ।
* বাল্মীকি রামায়ণ রচনা করেন নি- জনসাধারণের জন্য ।
* স্ত্রীর নামঃ- সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা ‘ইন্দিরা দেবী’ ।
* পরিচিতিঃ- বাংলা সাহিত্যের চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক ।
* বিশেষ কৃতিঃ- বাংলা কাব্য সাহিত্যে ইটালীয় সনেটের প্রবর্তক হিসেবে পরিচিত ।
* চলিতরীতিতে তাঁর প্রথম গদ্য রচনা- ‘বীরবলের হালখাতা’ ।
* ফরাসি ও ইংরেজি সাহিত্যে তিনি সুপন্ডিত ছিলেন ।
* পরিবারিক সম্পর্কে প্রমথ চৌধুরী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর- ভাইজী, জামাই ।
* সম্পাদিত পত্রিকাঃ- ‘সবুজপত্র’ (১৯১৪) এটি মাসিক পত্রিকা, এবং ‘বিশ্বভারতী’ পত্রিকা ।
* কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ‘জগত্তারিণী পদক’ দানে সম্মানিত করেন ।
প্রবন্ধ
বীরবলের হালখাতা, তেল-নুন-লাকড়ি, নানা কথা, আমাদের শিক্ষা, নানা চর্চা, রায়তের কথা, প্রবন্ধ সংগ্রহ ।
গল্পগ্রন্থ
নীললোহিত, আহুতি, চার ইয়ারী কথা, গল্পসংগ্রহ ।
কাব্যগ্রন্থ
সনেট পঞ্চাশৎ, পদচারণ ।
উৎস
সাহিত্যে খেলা সর্বপ্রথম ‘সবুজপত্র’ পত্রিকায় (১৯১৫ সাল/ ১৩২২ বঙ্গাব্দ শ্রাবণ সংখ্যায়) প্রকাশিত হয় । ১৯৫২ সালে এটি ‘প্রবন্ধ সংগ্রহ’ গ্রন্থের ১ম খন্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
* ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে জার্মান দেশের নাম আছে ।
* ‘সাহিত্যে খেলা’ শব্দটি আছে এক বার ।
* ‘খেলা’ শব্দটি আছে ২১ বার ।
* কাদের যা খুশি তা করবার অধিকার নেই?- ইতর শিল্পীদের ।
* মর্তবাসীদের পক্ষে বিশেষ নিন্দনীয়- রসাতলে গমন করাটা ।
* কাদের যা খুশি তাই করবার অধিকার আছে?- কলারাজ্যের মহাপুরুষদের ।
* জগতের কয়টি দিক- ১০ টি ।
* শ্রোতা/ দর্শকদের মন আকর্ষণ করতে পারি না- উঁচুতে না উঠলে ।
* আমাদের উপদেশ কেউ মানে না- বেদীতে না বসলে ।
* আমাদের অভিনয় কেউ দেখে না- রঙ্গমঞ্চে না চড়লে ।
* আমাদের বক্তৃতা কেউ শোনে না- কাষ্ঠমঞ্চে না দাঁড়ালে ।
* কষ্টকর হলেও আমাদের অবশ্য কাদের পথ অনুসরণ করাই কর্তব্য- মহাজনদের ।
* এ পৃথিবীতে একমাত্র কোথায় ব্রাহ্মণ-শুদ্রের প্রভেদ নেই- খেলার ময়দানে ।
* ‘তাঁরাই যথার্থ সামাজিক জীব’- কারা?- লেখকেরা । আর বাদবাকি সকলে কেবলমাত্র পারিবারিক ।
* বিশ্বমানবের মনের সঙ্গে নিত্য নতুন সম্বন্ধ পাতানোই হচ্ছে কবিমনের নিত্যনৈমিত্তিক কর্ম ।
* কবি মনের গোপন কথাটি উচ্চারিত হয়- গীতিকবিতায় ।
* মানুষ যে খেলা দেখতে ভালোবাসে তার পরিচয় পাওয়া যায়- জড় সমাজে ।
* মানুষের দেহমনের সকল প্রকার ক্রিয়ার মধ্যে ক্রীড়া শ্রেষ্ঠ কারণ- তা উদ্দেশ্যহীন ।
* যে খেলার ভিতর আনন্দ নেই, কিন্তু উপরি পাওনার আশা আছে তার নাম- জুয়া খেলা ।
* খেলার আনন্দ কারও নিজস্ব হতে পারে না কারণ তা- নিরর্থক ।
* আমাদের পক্ষে সর্বপ্রধান কর্তব্য হচ্ছে – মনোজগতে খেলা করা ।
* মোক্ষলাভের একমাত্র উপায়- খেলা ।
* যদি তাঁর কোনই অভাব নেই তবুও তিনি বিশ্ব সৃজন করেছেন- বলেছেন- স্বয়ং ভগবান ।
* কার সৃষ্টি বিশ্বসৃষ্টির অনুরূপ- কবির সৃষ্টি ।
* ‘সে সৃষ্টির মূলে অন্তরাত্মার স্ফূতি এবং তার ফল আনন্দ- কার সৃষ্টি ?- কবির সৃষ্টি ।
* সাহিত্য সৃষ্টি জীবাত্মার লীলামাত্র । জীবাত্মা পরমাত্মার অংশ ও অঙ্গ ।
* সাহত্যের উদ্দেশ্য নয়- কারও মনোরঞ্জন করা ।
* ‘এ দুয়ের ভিতর যে আকাশ পাতাল প্রভেদ আছে,’-এ দুয়ের বলতে- আনন্দ দেওয়া ও মনোরঞ্জন করাকে বুঝিয়েছেন ।
* কাব্যের- ঝুমঝুমি ।
* বিজ্ঞানের- চুষিকাঠি ।
* দর্শনের- বেলুন ।
* রাজনীতির- রাঙ্গালাঠি ।
* ইতিহাসের- ন্যাকড়ার পুতুল ।
* নীতির- টিনের ভেঁপু ।
* ধর্মের- জয়ঢাক ।
* সাহিত্যরাজ্যে খেলনা পেয়ে পাঠকের মনতুষ্টি হতে পারে । কিন্তু তা গড়ে লেখকের মনতুষ্টি হতে পারে না ।
* কে আজ যে খেলনা আদর করে কাল সেটিকে ভেঙ্গে ফেলে- পাঠক সমাজ ।
* কোথায় যার নাম আনন্দ তার নাম বেদনা- কাব্যসমাজে ।
* বৈশ্য লেখকের পক্ষেই শুদ্র পাঠকের মনোরঞ্জন করা সংগত ।
* কবির মতিগতি শিক্ষকের মতিগতির সম্পূর্ণ বিপরীত ।
* কাব্যরস – অমৃত ।
* শিক্ষার উদ্দেশ্য মানুষকে বিশ্বের খবর জানানো, আর সাহিত্যের উদ্দেশ্য- মানুষের মনকে জানানো ।
* এককালে সাহিত্যের ভার নিয়েছেন- স্কুল মাস্টাররা ।
* যমজ হলেও সহোদর নয়- হীরক ও কাচ ।
* শেষ লাইন- সাহিত্য খেলাচ্ছলে শিক্ষা দেয় ।
* আনন্দের ধর্ম- সংক্রমণ ।
* লেখক এবং পাঠকদের মধ্যে- স্কুল মাস্টাররা দন্ডায়মান ।
* বাল্মীকি রামায়ণ রচনা করেন নি- জনসাধারণের জন্য ।
শব্দার্থ ও টীকা
রোদ্যাঁ--- ফ্র্যাঁসোয়া ভাস্কর রোদ্যাঁ (১৮৪০-১৯১৭) বিশ্ববিখ্যাত ফরাসি ভাস্কর । তাঁর শ্রেষ্ঠ
কীর্তি- নরকের দুয়ার, বার্ঘাস অব ক্যালে । অবিনশ্বর কীর্তি- চিন্তাবিদ, আদম, ইভ
তিনি ভিক্টর হুগো, বালজাক, বার্নার্ড শ ইত্যাদি প্রতিকৃতি নির্মাণ করেন ।
গতায়াত--- যাতায়াত ।
গীতিকবিতা--- Lyric .
মোক্ষলাভ--- আত্মার মুক্তি অর্জন ।
বাল্মীকি--- রামায়ণ প্রণেতা বিখ্যাত কবি । যৌবনে তার নাম ‘রত্নাকর’ পেশা- দস্যুতা ।
কুশীলব--- নট, অভিনেতা ।
কৌপীন--- ল্যাঙট ।
পেলা--- পারিতোষিক ।
রোদ্যাঁ--- ফ্র্যাঁসোয়া ভাস্কর রোদ্যাঁ (১৮৪০-১৯১৭) বিশ্ববিখ্যাত ফরাসি ভাস্কর । তাঁর শ্রেষ্ঠ
কীর্তি- নরকের দুয়ার, বার্ঘাস অব ক্যালে । অবিনশ্বর কীর্তি- চিন্তাবিদ, আদম, ইভ
তিনি ভিক্টর হুগো, বালজাক, বার্নার্ড শ ইত্যাদি প্রতিকৃতি নির্মাণ করেন ।
গতায়াত--- যাতায়াত ।
গীতিকবিতা--- Lyric .
মোক্ষলাভ--- আত্মার মুক্তি অর্জন ।
বাল্মীকি--- রামায়ণ প্রণেতা বিখ্যাত কবি । যৌবনে তার নাম ‘রত্নাকর’ পেশা- দস্যুতা ।
কুশীলব--- নট, অভিনেতা ।
কৌপীন--- ল্যাঙট ।
পেলা--- পারিতোষিক ।
No comments:
Post a Comment