Thursday, April 17, 2014

বঙ্গভাষা


বঙ্গভাষা
মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩)

* জন্মঃ- ২৫ জানুয়ারি ১৮২৪ ।
* পিতাঃ- রাজনারায়ণ দত্ত; মাতাঃ- জাহ্নবী দেবী ।
* জন্মস্থানঃ- সাগরদাঁড়ি, কেশবপুর, যশোর ।
* ধর্মান্তরিত হনঃ- ৯ ফেব্রুয়ারি ১৮৪৩ ।
* প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ- The Captive Lady, ১৮৪৯ সাল ।
* ছদ্মনামঃ- Timothy penpoem.
* প্রথম নাটকঃ- শর্মিষ্ঠা (১৮৫৯) ।
* তার প্রথম কাব্যঃ- তিলোত্তমা সম্ভব (১৮৬০) ।
* তার প্রথম কাব্যঃ- মেঘনাদবধ (১৮৬১) ।
* বিলেত গমন করেন ১৮৬২ সালে ।
* বঙ্গভাষা কবিতার পূর্ণ নাম- কবি মাতৃভাষা ।
* তিনি ১৩/১৪ টি ভাষা শিখেছিলেন ।
* খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন ১৮৪৩ সালে (১৯ বছর বয়সে)
* খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করার পর তার নামের শেষে ‘মাইকেল’ নামটি যুক্ত হয় ।
* উপাধিঃ- মাইকেল ।
* কবিকঙ্কন- চন্ডীমঙ্গল ।
* ভারতচন্দ্র- অন্নদা মঙ্গল ।
* কাশীরাম দাস- মহাভারত ।
* কৃত্তিবাস- রামায়ণ ।
* কালিদাস- মেঘদূত ।
* জয়দেব- গীতগোবিন্দ ।
* সাহিত্যে স্বীকৃতিঃ-
(১) আধুনিক বাংলা কবিতার জনক ।
(২) প্রথম সনেট রচয়িতা (বাংলা ভাষায়) ।
(৩) প্রথম প্রহসন রচয়িতা (বাংলা ভাষায়) ।
(৪) প্রথম সার্থক মহাকাব্য রচয়িতা (বাংলা ভাষায়) ।
(৫) বাংলা ভাষায় অমিত্রাক্ষর ছন্দের রচয়িতা ।
(৬) প্রথম সার্থক ট্রাজেডি নাটক- ‘কৃষ্ণকুমারী’ ।
* মৃত্যুঃ- ২৯ জুন ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দ, কলকাতায় ।
* সমাধিস্থানঃ- কলকাতার লেয়ার সার্কুলার রোডে ।
নাটক
‘শর্মিষ্ঠা’, ‘পদ্মাবতী’, ‘কৃষ্ণকুমারী’, ‘হেক্টরবধ’, ‘মায়াকানন’ ।
প্রহসন
একেই কি বলে সভ্যতা, বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ ।
পত্রকাব্য
বীরাঙ্গনা
কাব্যগ্রন্থ
তিলোত্তমাসম্ভব, মেঘনাদবধ, ব্রজাঙ্গনা, চতুর্দশপদী কবিতাবলি ।
* ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলি’ তিনি ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে বসে রচনা করেন ।

কবিতা পরিচিতিঃ-
পূর্ণনামঃ- কবি মাতৃভাষা ।
গ্রন্থঃ- বঙ্গভাষা কবিতাটি ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলি’ গ্রন্থের অন্তর্গত ।
ছন্দঃ- অক্ষরবৃত্ত ।
মাত্রা সংখ্যাঃ- প্রতি চরণে ১৪ মাত্রা, দুটি পর্ব । প্রথম পর্ব ৮ মাত্রার, দ্বিতীয় পর্ব ৬ মাত্রার
অষ্টকের মিল বিন্যাসঃ- কখ কখ খক খক,
ষটকের মিল বিন্যাসঃ- গঘ গঘ ঙঙ ।
বাংলা সাহিত্যে প্রথম সনেটের নাম- বংভাষা ।
সনেট কবিতা একটি বিশেষ ধরণের- রূপকল্প ।
‘বঙ্গভাষা’ কবিতায় কতবার যতিচিহ্নের ব্যবহার আছে- ৩৪ বার ।

শব্দার্থ ও টীকা
পরধন- লোভে মত্তঃ- পরের সম্পদের উপর অতিমাত্রায় আকৃষ্ট । পরধন বলতে কবি পাশ্চাত্য সাহিত্যকে বুঝিয়েছেন ।
পরদেশঃ- বিদেশের সাহিত্য ক্ষেত্র ।
কায়ঃ- দেহ, শরীর ।
কমল-কাননঃ- পদ্মবন ।
কুললক্ষী- ভাষাদেবী ।
কেলিনুঃ- খেললাম ।

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
* বঙ্গভাষা কবিতায় ‘কুললক্ষী’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?- ভাষাদেবী ।
* ‘মজিনু বিফল তপে অবরণ্যে বরি’- কাকে বরণ করেছিলেন কবি- বিদেশী সাহিত্যকে ।
* সনেটের প্রবর্তক কে?- পেত্রার্ক ।
* সনেট রীতির কাব্য রচনা কোন দেশে হয়?- ইতালী ।
*  ‘বঙ্গভাষা’ কবিতার কোন চারটি চরনে পেত্রার্কীয় ঢং দেখা যায়?- নবম থেকে দ্বাদশ । (গঘ গঘ) ।
* ‘সঁপা’ শব্দের ব্যুৎপত্তি কোনটি?- সমর্পণ ।
* “বাছা” শব্দটি- তদ্ভব শব্দ ।
* কবি পরদেশে কিভাবে জীবন-যাপন করেছেন?- অনিদ্রায় অনাহারে ।
* কবি ‘কমল কানন’ ভুলে কি গ্রহণ করলেন?- শৈবাল ।
* বঙ্গভাষা কবিতার মূল ভাব- বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের মূল্যায়ন ।
* কবি সনেট লেখার ব্যাপারে প্রথম কাকে জানান?- বন্ধু রাজনারায়ণ বসুকে চিঠিতে ।
* কবি নিজেকে কেমন মনে করেছেন?- অবোধ ।
* বাংলা সাহিত্যে রেনেসাঁর কবি হিসেবে পরিচিত কে?- মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।
* ‘পর-ধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ’- এর পরের পঙক্তি- ‘পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি ।’
* পরধন বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?- পাশ্চাত্য সাহিত্যকে ।
* মধুসূদন দত্ত চতুর্দশপদী কবিতা রচনায় কোন কবির আদর্শ বেছে নিয়েছিলেন- পেত্রার্ক ।
* পৃথিবীতে সর্বপ্রথম সনেট রচনা করেন- পেত্রার্ক ।
* কবিতার প্রথম চারটি চরণ কোন রীতিতে রচিত?- শেক্সপীয়রীয় ঢঙে (কখ কখ) ।
* পঞ্চম থেকে অষ্টম চারটি চরণ কোন রীতিতে রচিত?- অনিয়মিত শেক্সপীয়রীয় ঢঙের ।
* শেষ দুটি চরণ (১৩-১৪) কোন রীতিতে রচিত?- শেক্সপীয়রীয় ঢঙে (ঙঙ) ।
* একটি সনেটে কয়টি ভাব থাকে- ১টি ।
* ‘বঙ্গ’- ১ বার । ‘হে বঙ্গ’ আছে ১ বার ।
* সনেটে পঙতি থাকে- ১৪ টি, স্তবক- ২টি ।
* কবি পরদেশে ভ্রমণ হয়েছেন কেন?- লোভে মত্ত হয়ে ।
* কবি পরদেশে নিজেকে কী মনে করেছেন?- ভিক্ষুক ।

No comments:

Post a Comment