Thursday, April 17, 2014

কমলাকান্তের জবানবন্দি


কমলাকান্তের জবানবন্দি
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪)

- উৎসঃ- কমলাকান্তের দপ্তর নামক প্রবন্ধগ্রন্থ (১২৮৮ বঙ্গাব্দ)
- ছদ্মনাম কমলাকান্ত ।
- বঙ্কিমচন্দ্রের উপাধি
সাহিত্যসম্রাট । তিনি বাংলা উপন্যাসের জনক ।
- (১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুন) পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণার জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে
   জন্মগ্রহন করেন (বাংলা- ১৩ আষাঢ় ১২৪৫)।
- ৮ এপ্রিল ১৮৯৪ (২৬ চৈত্র ১৩০০) কলকাতায় বহুমূত্র রোগে মৃত্যুবরণ করেন ।
- পিতাঃ- যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় । পেশায় ডেপুটি কালেক্টর ।
- মাঃ- দুর্গাসুন্দরী ।
- বঙ্কিমচন্দ্র কর্মজীবনে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন ।
- বঙ্গদর্শন (১৮৭২) এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ।
- প্রথম প্রকৃত বাংলা উপন্যাস-
দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫)
- প্রথম লেখা উপন্যাস-
“Rajmohon’s Wife”.
- প্রথম কাব্যগ্রন্থ-
ললিতা তথা মানস (১৮৫৬)।
- লেখা উপন্যাসের সংখ্যা ১৪ টি ।
- কমলাকান্তের জবানবন্দি সাধুরীতির উদাহরন ।
- কমলাকান্তের জবানবন্দি প্রথম প্রকাশিত বঙ্গদর্শন পত্রিকায় (১২৮৮) ফাল্গুন সংখ্যায় ।
- কমলাকান্তের জবানবন্দি নকশা জাতীয় হালকা সরস রচনা ।

উপন্যাসসমূহ
প্রবন্ধসমূহ
দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫), কপালকুন্ডলা (১৮৬৬), মৃণালিনী (১৮৬৯), বিষবৃক্ষ (১৮৭৩), রজনী (১৮৭৭), কৃষ্ণকান্তের উইল (১৮৭৮), রাজসিংহ (১৮৮২), আনন্দমঠ (১৮৮৪), দেবী চৌধুরাণী (১৮৭৭), সীতারাম (১৮৭৫)
লোকরহস্য, বিজ্ঞানরহস্য, কমলাকান্তের দপ্তর, বিবিধ সমালোচনা, সাম্য, কৃষ্ণচরিত্র, বিবিধ প্রবন্ধ, ধর্মতত্ত্ব অনুশীলন, শ্রীমদ্ভগবদগীতা

শব্দার্থ

* শামলা- শালের পাগড়ি ।
* এজলাস- বিচারকক্ষ ।
* কাটারা- কাঠগড়া ।
* ওথ- হলফনামা ।
* সেরকশ- বেয়াড়া, উদ্ধত, একগুঁয়ে ।
* কুঠারি- যাত্রাদলের মালিক বা পরিচালক ।
* ব্রাহ্ম সমাজ- রাজা রামমোহন রায় (১৭৭৪-১৮৮৩) প্রবর্তিত এবং মহর্ষি
   দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮১৭-১৯০৫) প্রচারিত একেশ্বরবাদী ধর্মসম্প্রদায় ।
* যজ্ঞোপবীত- যজ্ঞসূত্র, উপবীত, পৈতা ।

গুরুত্বপূর্ন তথ্যঃ-
-
হাস কেন?- উক্তিটি চাপরাশির (ধমকিয়ে বললেন)
- কমলাকান্তের বয়স ৫১ বছর ২ মাস ১৩ দিন ৪ ঘন্টা ৫ মিনিট (সেকেন্ড উল্লেখ
   নাই)
- কমলাকান্তের আড্ডা ছিল- নসীবাবু যখন ছিলেন ।
- মামলাকারী/ ফরিয়াদি- প্রসন্ন গোয়ালিনী, মোকদ্দমা- গরুচুরি ।
- কনেস্টেবলের পোষাক- কালোকোর্তা ।
- কনেস্টেবল রুল ঘুরাইয়া কমলাকান্তকে সঙ্গে করিয়া এজলাসে লইয়া গেল ।
- কমলাকান্ত ছিল- সাক্ষী
- হাকিম বিরাজ করিতেছে- মাচানের উপর ।
-
তুমি অধম বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন-উক্তিটি বঙ্কিমচন্দ্রের
- কমলাকান্তের প্রথম উক্তি-
বাবা, কার ক্ষেতে ধান খেয়েছি যে, আমাকে এর
  ভেতর পুরিলে ?

- কমলাকান্ত মৃদু মৃদু হাসিতে লাগিল যখন তাকে কাটারায় পুরিয়ে দিল ।
-
তামাশার জায়গা এ নয়- হলফ পড় ।- দাড়ি ঘুরাইয়া চাপরাশি বলিল ।
- উকিল কীভাবে বলিল
কিসে চিনিলে?- হাসিয়া ।
- উকিলের গায়ে ছিল- মোটা চেন আর ময়লা শামলা ।
- 
ধর্মাবর্তার! সাক্ষী বড় সেরকশ । উক্তিটি মুহুরির ।
-
সে সাধ এখানেই মিটিল-কমলাকান্তের কোন সাধ?- যাত্রা শোনার ।
-
এত বুদ্ধি থাকিলে তোমার কি এ পদবৃদ্ধি হইত?- উক্তিটি কমলাকান্ত হাকিমকে
   মনে মনে বলিল ।
- কমলাকান্তের জাত- ব্রাহ্মণ । ধর্ম- হিন্দু, বর্ণ- ঘোরতর কৃষ্ণবর্ণ ।
-
রাগবৈদ গন্ধ কি?- হাস্যরসের অনুভব সৃষ্টি করে এমন বুদ্ধিদীপ্ত কথা ।

No comments:

Post a Comment